র(ر) হরফ পড়ার নিয়ম | Rules of Letter Raa (সহীহ কুরআন শিক্ষা পার্ট-9)

র(ر) হরফ পড়ার নিয়ম


(ر) হরফ পড়ার নিয়ম কয়টি ও কি কি?

(ر) হরফ পড়ার নিয়ম ২টি। যথাঃ (১) পোর বা মোটা (২) বারিক বা পাতলা।

 

পোর বা মোটা

(ر) হরফ কোন সময় পোর বা মোটা করে পড়তে হয়?

(ر) পোর বা মোটা করে পড়ার নিয়মঃ

(১)র(ر) এর উপরে যবর বা পেশ হলে মোটা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

যবর এর ক্ষেত্রে - فَمَا رَبِحَتۡ تِّجَارَتُہُمۡ

পেশ এর ক্ষেত্রে - تَکۡفُرُوۡنَ بِاللّٰہِ وَکُنۡتُمۡ

(২) র(ر) সাকিন অবস্থায় যদি উহার পূর্বের হরফে যবর বা পেশ হয় তাহলে র কে মোটা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

যবর এর ক্ষেত্রে - اَیَّامٍ وَّکَانَ عَرۡشُہٗ

পেশ এর ক্ষেত্রে - وَاِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ

(৩)র(ر) তাশদীদে যবর বা পেশ হলে মোটা করে পড়তে হয়। যেমনঃ

যবর এর ক্ষেত্রে - لَیۡسَ الۡبِرَّ اَنۡ تُوَلُّوۡا وُجُوۡہَکُمۡ

পেশ এর ক্ষেত্রে - قَآئِمَۃً ۙ وَّلَئِنۡ رُّدِدۡتُّ اِلٰی رَبِّیۡ

এক্ষেত্রে র(ر) তাশদীদের উপর যবর/পেশ হওয়ায় র(ر) কে মোটা করে পড়তে হবে।

(৪)র(ر হরফে যদি ওয়াক্বফ করা হয়  ও তার পূর্বে যদি ইয়া ব্যতিত অন্য কোন হরফে সাকিন হয় এবং ঐ সাকিন হরফের  পূর্বের হরফে যদি যবর বা পেশ হয় তাহলে র(ر) কে মোটা করে পড়তে হবে।।যেমনঃ

যবর এর ক্ষেত্রে - وَتَوَاصَوۡا بِالصَّبۡرِ

পেশ এর ক্ষেত্রে - اِنَّ الۡاِنۡسَانَ لَفِیۡ خُسۡرٍ
 
এখানে র(ر) তে ওয়াক্বফ করলে র মোটা করে পড়তে হবে কারণ এর পূর্বে ইয়া সাকিন না এসে অন্য হরফে সাকিন হয়েছে এবং তার পূর্বের হরফে যবর/পেশ এসেছে

(৫) র(ر) হরফে সাকিন তার পূর্বে আরজী যের (সাকিন থাকার কথা ছিল) হলে পোর করে পড়তে হয়। যেমনঃ 

 مَنِ ارْتَضٰي

এখানে দুটি শব্দ مَن এবং اِرْ ।দুটি শব্দে প্রথমে র সাকিন আসলে  মোটা করে পড়তে হয়।নুন এর যের হছে আরজী যের।

(৬) র(ر) সাকিনের পূর্বে হরফে যের হলে এবং পরে ইস্তেআলার ৭টি হরফ ( خ , ص , ض , غ , ط , ظ , ق)  হতে কোন একটি হরফ একই শব্দে আসলে মোটা করে পড়তে হয়।যেমনঃ 

بِالْمِرْصَادِ 

এখানে র(ر) সাকিনের পূর্বে যের হওয়ায় বারিক পড়ার কথা ছিল কিন্তু পরে ইস্তেআলার হরফ ص আসায় র কে মোটা করে পড়তে হবে।

ভিডিও


 
বারিক বা পাতলা

(ر) হরফ কোন সময় বারিক বা পাতলা করে পড়তে হয়?

(ر) বারিক বা পাতলা করে পড়ার নিয়মঃ

(১) র(ر) এর নিচে যের হলে পাতলা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

لَّکُمۡ عِنۡدَ بَارِئِکُمۡ

(২)র(ر) সাকিন অবস্থায় যদি উহার পূর্বের হরফে  আছলী যের হয় তাহলে র কে বারিক বা পাতলা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

اَمۡ لَمۡ تُنۡذِرۡہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡنَ

(৩)র(ر) তাশদীদে যের হলে পাতলা করে পড়তে হয়। যেমনঃ

مِنۡ شَرِّ مَا خَلَقَ 

এক্ষেত্রে র(ر) তাশদীদের নিচে যের হওয়ায় র(ر) কে পাতলা করে পড়তে হবে।লক্ষণীয় যে شَرِّ শব্দটি شَرْ + رِ দিয়ে গঠিত ।তাই شَرْ মোটা হবে এবং رِ পাতলা হবে।

(৪)র(ر) হরফে যদি ওয়াক্বফ করা হয়  ও তার পূর্বে যদি ইয়া সাকিন হয় এবং ঐ ইয়া সাকিনের পূর্বের হরফে যদি যের হয় তাহলে র(ر) কে পাতলা করে পড়তে হবে।।যেমনঃ
بِمَا تَعۡمَلُوۡنَ خَبِیۡرٌ 

এখানে র(ر) তে ওয়াক্বফ করলে র পাতলা করে পড়তে হবে কারণ এর পূর্বে ইয়া সাকিন এসেছে এবং ইয়া সাকিনের পূর্বের হরফে অর্থাৎ বা তে যের এসেছে।

ভিডিও




Post a Comment

0 Comments