আলিফে যায়িদা। Alif Zaida
আলিফে যায়িদা অর্থ অতিরিক্ত আলিফ যে আলিফ লিখার সময় লিখতে হয় কিন্তু পড়ার সময় পড়া যায় না।
আলিফে যায়িদা চেনার উপায়ঃ
নিয়ম - ১
যবরের বাম পাশে খালি আলিফ (اْ) এর উপর গোল চিহ্ন হলে আলিফে যায়িদা হয়।যবরের বাম পাশে খালি আলিফ এক আলিফ পরিমাণ টেনে পরতে হয় কিন্তু এই আলিফ পড়ার সময় কোনো টান হবে না অর্থাৎ টান ছাড়া তাড়াতাড়ি পড়তে হবে।তবে যদি ওয়াক্বফ করা হয় তাহলে এই আলিফকে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে। যেমনঃ
সূরা কাহাফ - আয়াত ৩৮ঃ لٰکِنَّا۠ ہُوَ اللّٰہُ رَبِّیۡ
এখানে যদি শুধু 'লা কিন্না' পড়ে ওয়াক্বফ করা হয় তাহলে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে। আর যদি ওয়াক্বফ না করে মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে না টেনে তাড়াতাড়ি পড়তে হবে।যেমনঃ لٰکِنَّ ہُوَ اللّٰہُ رَبِّیۡ
সূরা আহযাব্ - আয়াত ১০ঃ وَتَظُنُّوۡنَ بِاللّٰہِ الظُّنُوۡنَاْ★ہُنَالِکَ
ওয়াক্বফ করা হলে না (نَاْ) তে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে আর যদি মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে মাদ্দ হবে না।যেমনঃ وَتَظُنُّوۡنَ بِاللّٰہِ الظُّنُوۡنَ★ہُنَالِکَ
সূরা আহযাব্ - আয়াত ৬৬ঃ وَاَطَعۡنَا الرَّسُوۡلَاْ★وَقَالُوۡا
ওয়াক্বফ করা হলে না (لَاْ) তে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়তে হবে আর যদি মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে মাদ্দ হবে না।যেমনঃ وَاَطَعۡنَا الرَّسُوۡلَ★وَقَالُوۡا
সূরা আহযাব্ - আয়াত ৬৭ঃ فَاَضَلُّوۡنَا السَّبِیۡلَاْ★ رَبَّنَاۤ اٰتِہِمۡ
মিলিয়ে পড়া হলে,
فَاَضَلُّوۡنَا السَّبِیۡلَ★ رَبَّنَاۤ اٰتِہِمۡ
সূরা দাহ্র - আয়াত ৪ঃ اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ سَلٰسِلَا۠ وَاَغۡلٰلًا
একইভাবে যদি এই আয়াতের সালাসিলাতে থামা হয় তাহলে আলিফকে পড়তে হবে আর না থামলে পড়া যাবে না। যেমনঃ اِنَّاۤ اَعۡتَدۡنَا لِلۡکٰفِرِیۡنَ سَلٰسِلَ وَاَغۡلٰلًا
সূরা দাহ্র - আয়াত ১৫ঃ وَّاَکۡوَابٍ کَانَتۡ قَؔوَارِیۡرَا۠★قَؔوَارِیۡرَا۠ مِنۡ فِضَّۃٍ
মিলিয়ে পড়া হলে,
وَّاَکۡوَابٍ کَانَتۡ قَؔوَارِیۡرَ★قَؔوَارِیۡرَ مِنۡ فِضَّۃٍ
সূরা বাকারা - আয়াত ২৫৮ঃ قَالَ اَنَا اُحۡیٖ وَاُمِیۡتُ
কুরআনে আনা (اَنَا) শব্দটি অনেকবার এসেছে। এই আনা (اَنَا) শব্দে যে আলিফ আছে এটি যায়িদ আলিফ।একইভাবে যদি এই আলিফে থামা হয় তাহলে পড়তে হবে আর যদি থামা না হয় তাহলে পড়তে হবে না। যেমনঃ
قَالَ اَنَ اُحۡیٖ وَاُمِیۡتُ
আনা (اَنَا) শব্দ নিয়ে পূর্বের পর্বে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে... লিংক।
নিয়ম - ২
কুরআনুল কারিমে এমন যায়িদ আলিফ আছে যাকে শুধু লেখার সময় লিখতে হয় কিন্তু পড়ার সময় কোনো অবস্থাতে পড়া যায় না। কারণ এগুলো শব্দের শেষে না এসে শব্দের মধ্যে আসে।যেমনঃ
সূরা ইমরান - আয়াত ১৫৮ঃ لَاْاِلَی اللّٰہِ تُحۡشَرُوۡنَ
এখানে লাম এর সাথে যে আলিফ আছে এটিকে কোনো অবস্থাতে পড়া যাবে না।
সূরা তাওবাহ্ - আয়াত ৪৭ঃ وَّلَا۠اَوۡضَعُوۡا خِلٰلَکُمۡ
সূরা নম্ল - আয়াত ২১ঃ اَوْ لَاْاَذۡبَحَنَّہٗۤ
সূরা আস ছাফ্ফাত - আয়াত ৬৮ঃ لَا۠اِلَی الۡجَحِیۡمِ
সূরা আল হাশরঃ لَاْاَنۡتُمۡ
সূরা আল আরাফ,ইউনুস, হূদ,মুমিনূন,কাসাস,যুখরুফঃ وَمَلَاْئِهٖ
সূরা আল ইমরান - আয়াত ১৪৪ঃ اَفَا۠ئِنۡ
সূরা আল কাহাফ - আয়াত ২৩ঃ لِشَاْیۡءٍ
সূরা আল আনআমঃ نَبَاْءِِ
লক্ষণীয় যে প্রথম নিয়মে আলিফে ওয়াক্বফের সময় পড়া হলেও দ্বিতীয় নিয়মের আলিফগুলো ওয়াক্বফের সময়ও পড়া যাবেনা। কারণ এগুলো শব্দের মধ্যে আসছে। প্রথমগুলোতে সবসময় যায়িদ আলিফ শব্দের শেষে এসেছে। তাই ওয়াক্বফ করলে পড়া যাবে কিন্তু শব্দের মাঝে কখনও ওয়াক্বফ করা যায় না তাই এই আলিফ পড়া যাবে না।
আরো ভালো করে বুঝতে নিচের লিংক এ ভিজিট করতে পারেন -
ভিডিও
4 Comments
Kotin bishoy
ReplyDeleteHmm mutamuti tobe aktu practice korlei shohoj hoye jabe😊
DeleteIn shaa allah
ReplyDeleteবহুদিনের খোঁজা প্রশ্নের উত্তর পেলাম।
ReplyDeleteجزاكم الله خيرا