লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম, তা'য়ে তানীস এবং আনা(اَنَا) শব্দ পড়ার নিয়ম (সহীহ কুরআন শিক্ষা পার্ট-10)

লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম, তা'য়ে তানীস এবং আনা(اَنَا) শব্দ পড়ার নিয়ম


লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম পড়ার নিয়ম

লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম দুই ভাবে পড়া হয়।যথা-

(১) পোর বা মোটা 

(২) বারিক বা পাতলা

লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম পোর বা মোটা করে পড়ার নিয়মঃ

লফজ  আল্লাহর ডানে বা আগে যদি যবর বা পেশ থাকে তাহলে লফজ আল্লাহর লামকে পোর বা মোটা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

যবর এর উদাহরণ- قُلْ هُوَ اللّٰهُ اَحَدُٗ , اللّٰهُ اَكْبَرْ , اَللّٰهُ الصَّمَدْ

পেশ এর উদাহরণ- عِبَادُ اللّٰهِ , فَاَخَذَهُ اللّٰهُ , اَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ

লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম বারিক বা পাতলা করে পড়ার নিয়মঃ

লফজ  আল্লাহর ডানে বা আগে যদি যের থাকে তাহলে লফজ আল্লাহর লামকে বারিক বা পাতলা করে পড়তে হয়।যেমনঃ

যের এর উদাহরণ- قُلِ اللّٰهُمَّ , اَعُوْذُ بِاللّٰهِ , بِسْمِ اللّٰهِ

বিঃদ্রঃ লফজ (اَللّٰهُ) আল্লাহর লাম ব্যতীত বাকি সকল লাম বারিক বা পাতলা পড়তে হবে।

ভিডিও



তা'য়ে তানীস পড়ার নিয়ম

যেই তা(ت) স্ত্রী লিঙ্গ বুঝানোর জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে, তাকে তা'য়ে তানীস বলে।তা'য়ে তানীস দুই প্রকার।যথাঃ

(১) গোল তা (ة)

(২) লম্বা তা (ت)

গোল তা (ة) পড়ার নিয়মঃ

গোল তা(ة)- গোল তা ওয়াক্বফ অবস্থায় গোল হা(ه) উচ্চারণ করা হয়।আর ওয়াক্বফ না করে যদি মিলিয়ে পড়া হয় তাহলে গোল তা(ة) কে তা(ة) হিসেবেই উচ্চারণ করতে হয়।যেমনঃ اَلْقَارِ عَةُ , مَاالْقَارِ عَةُ

এখানে ওয়াক্বফ করলে গোল তা (ة) কে হা(ه) সাকিন করে পড়তে হবে। যেমনঃ 

আলক্বারিয়াতু এর পরিবর্তে হবে আলক্বারিয়াহ। 

মালক্বারিয়াতু এর পরিবর্তে হবে মালক্বারিয়াহ।

লম্বা তা (ت) পড়ার নিয়মঃ

লম্বা তা (ت)- লম্বা তা(ت) যেখানে যেভাবে থাকবে সেভাবেই উচ্চারণ করতে হবে।এটার কোনো পরিবর্তন হবেনা। যেমনঃ جَنّٰتُٗ

এখানে  ওয়াক্বফকরলে হবে জান্নাত আর ওয়াক্বফনা করলে হবে জান্নাতুন। 

ভিডিও 



আনা(اَنَا) শব্দ পড়ার নিয়ম

আনা(اَنَا)  শব্দে যবরের বাম পাশে যেহেতু আলিফ আছে তাই নিয়ম ছিল এটিকে এক আলিফ পরিমাণ টেনে পড়া।কিন্তু এই শব্দকে টেনে পড়তে নিষেধ করা হয়েছে।কুরআনের যত জায়গায় এই আনা(اَنَا) শব্দটি পাওয়া যাবে ,তত জায়গায় মাদ্দ বা টান হবে না অর্থাৎ তাড়াতাড়ি পড়তে  হবে।যেমনঃ 

সূরা মূলক - আয়াত ২৬ঃ  وَاِنَّمَاۤ اَنَا نَذِیۡرٌ مُّبِیۡنٌ

সূরা কাফিরুন - আয়াত ৪ঃ وَلَاۤ اَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدۡتُّمۡ

সূরা কাসাস - আয়াত ৩০ঃ یّٰمُوۡسٰۤی اِنِّیۡۤ اَنَا اللّٰہُ رَبُّ الۡعٰلَمِیۡنَ

ব্যতিক্রম

চার জায়গা আছে যেখানে আনা শব্দটা(اَنَا) থাকলেও সেটা মূলত সর্বনাম আনা শব্দ না বরং অন্য শব্দ। এই জন্য এই চার জায়গায় এক আলিফ মাদ্দ হবে।যেমনঃ

 اَنَامِلَ, اَنَاسِیَّ, اَنَابَ,  وَاَنَابُوۡۤا

কোরআনের আয়াত সমূহঃ

সূরা ইমরান - আয়াত ১৯ঃ  وَاِذَا خَلَوۡا عَضُّوۡا عَلَیۡکُمُ الۡاَنَامِلَ مِنَ الۡغَیۡظِ

সূরা ফুরকান - আয়াত ৪৯ঃ مِمَّا خَلَقۡنَاۤ اَنۡعَامًا وَّاَنَاسِیَّ کَثِیۡرًا 

সূরা লোকমান - আয়াত ১৫ঃ  وَّاتَّبِعۡ سَبِیۡلَ مَنۡ اَنَابَ اِلَیَّ

সূরা যুমার - আয়াত ১৭ঃ وَاَنَابُوۡۤا اِلَی اللّٰہِ لَہُمُ الۡبُشۡرٰی

ভিডিও



Post a Comment

0 Comments